Boudir Kapor Khola 2
বৌদির কাপড় খোলা ২
যোনি রসের স্বাদ পাগল করে তোলে তাকে। চেরার মধ্যে জিভটি গলিয়ে দিয়ে ভিতর
বাহির করতে থাকে পুরুষটি। স্তন টিপার মত করেই নিতম্ব মর্দন করতে থাকে
পুরুষটি। তবে বেশ জোরের সাথে। এভাবে কিছুক্ষন চলার পর নারী একদম হাপিয়ে
ওঠে। তার শরীর খাবি খায়। নারী চোদনের ক্লাসিক পজিশন। পুরুষটি নারীর পা
দুটি ভাজ করে উপরে তুলে দেয়। লিঙ্গটা ওর যোনিদ্বারে ঢোকানোর পরে পুরুষটি
এক অদ্ভূত সুখানুভূতি অনুভব করে দেহমনে। নারী শরীরের অভ্যন্তরে লিঙ্গটা
খেলতে শুরু করে। উদ্দাম হয়ে নারী পুরুষটিকে সঙ্গম সুখের স্বাদ দিতে শুরু
করে। চরম সুখের উত্তাপ যেন গলে গলে পড়ার অপেক্ষায়। কোমরটা দুহাতে জড়িয়ে
ধরে পুরুষটি ওকে একটা জোরে ধাক্কা দেয়। আস্ত লিঙ্গটা আচানক ঢুকে যায়
যোনির ভিতরে।
মনে হয় নাভী অব্দি গিয়ে ঠেকেছে। নারী অধীর আনন্দে শীৎকার দিয়ে ওঠে।
নারীর মনে হয় একটা বর্শা যেন তাকে বিছানার সাথে গেথে দিয়েছে। তারপর শুরু
হয় ঠাপ। অর্ধেকটা লিঙ্গ বের করে এনে সজোরে ঠেলে দেয়। জোর এবং গতি দুটোই
ক্রমশ বাড়তে থাকে। নারী এরই মাঝে জল খসিয়ে ফেলায় যোনিটি পিছলা হয়ে
লিঙ্গটি অনায়াসে আসা যাওয়া করে। উঃ এ যেন স্বর্গসুখ। ভয়ঙ্কর কঠিন হয়ে
গেছে লিঙ্গটা। প্রচন্ড উত্তেজনায় নারী থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে যৌবনের সব
উত্তাপ ঝরিয়ে দেয় পুরুষটির লিঙ্গরাজের ওপরে। পুরুষটিও দ্রুত গতিতে
অঙ্গসঞ্চালন করে শরীরের সব শক্তি নিঃশেষ করে ফেলে। এর মধ্যেই নারী যেন পুরো
শরীরটা সমর্পণ করে দেয় পুরুষটির কাছে। দেহে দেহে সংযোগ ঘটে, দুটি পাপড়ির
ফাঁকে লিঙ্গ ক্রমাগত প্রবেশ করে চলে। নারী এখন চরম সুখপ্রাপ্তির আবেশে
আচ্ছন্ন। সুখের সর্বোচ্চ শিখরে নারীকে পৌঁছে দিয়ে পুরুষটি কামনার জারকরস
উদগীরণ করে দেয়। বীর্য তখন বৃষ্টিপাতের মতই ঝড়ে পড়ে আর সেই সাথে দুজনেরই
অভ্যন্তরে সুখের লাভা গলে গলে ঝরে পড়ে। সাগরিকা বালিশটা টেনে নিয়ে কাত
হয়ে বেশ আরাম করে শোয়। চোখেমুখে এখনো খানিক আগের তৃপ্তির আভা। করতলে গাল
রেখে বিছানায় বসা রতিকান্তের দিকে তাকায়। রতিকান্ত- একটা কথা বলবে
সাগরিকা, তুমি কি সত্যিই আমাকে ভালবাস? সাগরিকা- ভাল না বাসলে তোমার সাথে
এইসব করতাম। আজ হঠাৎ এই কথা বলছ কেন? রতিকান্ত- আসলে আমি তোমাকে ঠিক বুঝতে
পারি না, কখনো মনে হয় তুমি খুব সরল সাধাসিধে আবার কখনো তুমি ধরা ছোঁয়ার
বাইরে। তাই আজ তোমাকে বলতেই হবে আমাদের সম্পর্কের পরিনতি নিয়ে তুমি কি
ভাবছ। সাগরিকা- কিসের সম্পর্ক? তুমি তো বললে আমাকে তুমি বোঝোই না, তাহলে?
রতিকান্ত- তুমি প্রত্যেক বারই হেঁয়ালি করে আমার এই কথাটা এড়িয়ে যাও, আজ
তোমাকে বলতেই হবে আমাদের সম্পর্কের পরিনতি কি? সাগরিকা- দেখো, তুমি
মাস্টার্স করে চাকরি খুঁজবে, কাজেই তোমার চাকরি পেতে পেতে এখনও তিন চার
বছর। এতদিন বাবাকে আমি তোমার ব্যপারে কিছু বলতে পারব না কারন তাহলেই বাবা
আমার কলেজে আসা বন্ধ করে দেবে বা আমাকে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেবে। এখন তুমি
যতদিন না ভাল চাকরি পাচ্ছ ততদিন আমাদের সম্পর্কের অবস্থা টালমাটাল। ভালবাসা
দিয়ে তো আর পেট ভরবে না। রতিকান্ত- কিন্তু তুমি আমাকে এইটুকু নিশ্চিন্ত
কর যে তুমি আমাকে ছেড়ে কখনো চলে যাবে না। তাহলে আমি নিশ্চিন্ত হয়ে ভাল
রেজাল্ট করে ভাল চাকরি পেতে পারি। সাগরিকা- হা, হা তুমি কি আমাকে হোটেল ভাব
নাকি যে আগে থেকে রুম বুক না করলে অন্য কেউ দখল করে নিতে পারে। আর একটা
কথা, সম্পর্কে আমার স্বীকৃতি দেওয়ার সাথে তোমার ভাল রেজাল্ট বা ভাল চাকরির
কি সম্পর্ক। তোমার জীবনের লক্ষ্যই ছিল ভাল চাকরি করে বাবা মায়ের দুঃখ
মোচন করা, এরমধ্যে আমি আসছি কোথা থেকে। রতিকান্ত- তোমার সঙ্গে কথায় কোনদিন
পারিনি, আজও পারলাম না। ঠিক আছে। অন্তত এইটুকু তো বলতে পার আমার কোন বিপদে
তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না। সাগরিকা- একটা মেয়ে হয়ে আমি তোমার সঙ্গে
হোটেলের ঘরে সময় কাটাচ্ছি, যেখানে তুমি ইচ্ছে করলেই আমাকে বিপদে ফেলতে পার
সেখানে আমি তোমাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করি অথচ তুমি আমার উপর ভরসা রাখতে
পারছ না। রতিকান্ত- উফ, তুমি পারোও বটে, সোজা কথা সোজা ভাবে বলতে পার না।
যাকগে মুখের কথার কি দাম কার্যক্ষেত্রেই প্রমান হবে। সাগরিকা- ঠিক বলেছ,
অনিশ্চয়তা কিসে নেই বল, যা ঘটার ঘটবে। আমি-তুমি হাজার চাইলেও নিয়তিকে
নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। শোন, অনেক দেরি হয়ে গেছে। আরও আগেই রওনা হওয়া
উচিত ছিল। চলো, স্নান সেরে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়ি। বাবা আসার আগে আমাকে
বাসায় পৌঁছাতে হবে। রতিকান্ত- ঠিক আছে, তুমি আগে বাথরুমে গিয়ে স্নান সেরে
নাও। সাগরিকা তোয়ালে নিয়ে বাথরুমের দরজার দিকে এগিয়ে প্রথমে দরজা খোলে।
আর তখনি বিছানা থেকে উড়ে এসে যেন সাগরিকার চিত্কারটাকে মুখে হাতচাপা
দিয়ে থামায় রতিকান্ত। বাথরুমের খোলা দরজা দিয়ে যে দৃশ্য দেখে ওরা, বাকি
জীবন তা ওদের মনে গেঁথে থাকবে। শাওয়ারের নিচে আধাশোয়া হয়ে পড়ে আছে
লোকটা। দেয়ালে মাথা আর পিঠ ঠেকানো। খোলা, প্রাণহীন চোখ দুটো যেন সোজা
চেয়ে আছে ওদের দিকে। মাথাটা সামান্য হেলে আছে ডান কাঁধের ওপর। সাদা
শার্টের বুকের কাছটা রক্তে লাল। বাথরুমের মেঝেতেও সরু একটা রক্তের ধারা
নেমে এসেছে। কালো প্যান্টের মধ্যেও ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। খালি পা। সাগরিকাকে
জাপটে ধরে রেখেই ঝুঁকে এক হাতে বাথরুমের দরজা টেনে দেয় রতিকান্ত।
হিস্টিরিয়া রোগীর মতো থরথরিয়ে কাঁপে সাগরিকা। অস্পষ্টভাবে শুনতে পায়,
‘চুপ করো। চুপ করো, সাগরিকা। কেউ শুনতে পাবে।’ উদভ্রান্তের মতো চারপাশে
দেখে সাগরিকা। রতিকান্ত টের পায় তার শরীরের সঙ্গে লেপ্টে থাকা সাগরিকার
খানিক আগের সেই উষ্ণ শরীর এখন বরফের মতো ঠান্ডা। সাগরিকা- এখন কি হবে
রতিকান্ত? পুলিশে খবর দেওয়া উচিত আমাদের… আর নয়তো হোটেলের কাউকে খবর দাও।
রতিকান্ত চেষ্টা করে নিজের আতঙ্ক চেপে রাখার। রতিকান্ত- পুলিশ? তোমার মাথা
খারাপ হয়েছে! কী ভয়ংকর প্যাঁচে পড়েছি বুঝতে পারছ না। সাগরিকা- কিন্তু,
লোকটাকে খুন করা হয়েছে! লোকটার বুকে গুলি মেরেছে কেউ! চল পালাই। রতিকান্ত-
এক মিনিট। আমরা যদি প্রথমেই এখান থেকে পালাই… না, এত সহজ না। আমরা চাইলেই
এখান থেকে চলে যেতে পারব না। হোটেলরুমে একটা লাশ ফেলে রেখে চাইলেই চলে
যাওয়া যায় না। কষ্টে ঢোক গেলে সাগরিকা, পরিস্থিতির জটিলতা ধীরে ধীরে
স্পষ্ট হতেই আতঙ্কে আবার বোধবুদ্ধি গুলিয়ে যায় তার। সাগরিকা- আচ্ছা
রতিকান্ত, আমাদের আগে এই রুমে যে ছিল এটা নিশ্চয়ই সেই লোকের কাজ, সে এই
লোকটাকে খুন করেছে। আমাদের আগের বোর্ডারের নাম-ঠিকানা নিশ্চয়ই আছে
ম্যানেজারের রেজিস্টারে। আমরা কেন সোজা ম্যানেজারের কাছে গিয়ে এটা বলছি
না? যা সত্যি তাই বলব। বাথরুমে লোকটাকে কীভাবে দেখেছি খুলে বলব। নীরবে
ট্রাউজার পরে রতিকান্ত। রতিকান্ত- কোনো লাভ হবে না। আমাদের এ রুম দেবার আগে
ওরা গোছগাছ করেছে। তখন বাথরুমে লাশ থাকলে ওদের চোখে পড়ত। নাম-ঠিকানা? ইস,
আমরা যদি হোটেলের রেজিস্টারে আমাদের ভুয়া নাম লিখতাম তাহলে বাঁচার একটা
সম্ভাবনা হয়তো ছিল। আমরা আসল নাম-ঠিকানা দিয়েছি গাধার মতো। এখন পালালেও
পরে পুলিশ সোজা বাসায় গিয়ে হাজির হবে। এই বিপদ থেকে বাঁচতে গেলে… একটাই
রাস্তা এখন… ধরো… ধরো… তোমার বাবাকে জানাই যে তুমি আমার সঙ্গে হোটেলে এসেছ
আর আমরা দুজনে কি বড় বিপদে… সাগরিকা- না, না। এটা বলবে না। কিছুতেই না।
বাবা তাহলে আমাদের দুজনকেই মেরে ফেলবে। তোমার মত ভেগাবন্ডের সাথে আমি
হোটেলের ঘরে সময় কাটিয়েছি শুনলে আমার সঙ্গে যার বিয়ের ঠিক হয়ে রয়েছে
সে আমাকে আর মেনে নেবে…… মুখ ফস্কে কথাটা বেরিয়ে যেতে সাগরিকা নিজেই ভীষণ
চমকে ওঠে। তার এখন আর কিছু করার নেই, বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে গেছে।
রতিকান্ত- মানে… তোমার সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়ে রয়েছে এই কথাটার মানে……
সাগরিকা মনে মনে ভাবে, গুলিটা যখন বেরিয়ে গেছে বন্দুক থেকে তখন লুকচুপি
করে লাভ নেই, সাগরিকা মরিয়া হয়ে ওঠে। সাগরিকা- শুনবে, তাহলে শোন সত্যিটা।
দু কান খুলেই শোন। আমার সাথে আমার বাবার বন্ধুর ছেলের সাথে বিয়ের পাকা
কথা হয়ে রয়েছে। ছমাস পরেই আমাদের বিয়ে, বিয়ের পরেই আমরা আমেরিকা চলে
যাব। রতিকান্ত- তাহলে আমার সাথে এই খেলা খেললে কেন? আমাকে ইউজ করে আজ
ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছ। সাগরিকা- হে লুক, তোমাকে আমি কি ইউজ করেছি, আমার
পয়সায় তুমি খেয়েছ, ঘুরেছ, মস্তি করেছ, এমনকি আজকের হোটেলের পয়সাও আমি
দিয়েছি। তোমার স্ট্যাটাস আর আমার স্ট্যাটাস হেল অ্যান্ড হেভেনের
ডিফারেন্স, সিনেমায় এসব হয় বাস্তবে হয় না। তোমার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা
শরীরের, মনের নয়, বিনা পয়সায় নয় ভাল মতন খরচা করেই শারীরিক আনন্দ ভোগ
করেছি। রতিকান্ত- ছেলে বেশ্যা বানিয়ে দিলে। সাগরিকা- এটা তোমার
চিন্তাধারা, আমার নয়। আমি যেমন আনন্দ পেয়েছি তেমনি তুমিও আমার শরীর ভোগ
করে কম আনন্দ পাওনি। বাথরুমে লাশ রেখে এইসব কথা পরে চোদালেও তো হবে। এখন এই
বিপদ থেকে কিভাবে রেহাই পাব সেটা ভাব। আচ্ছা, নিচে গিয়ে গাড়ি নিয়ে সোজা
বাড়ির পথ ধরলে হয় না? রতিকান্ত- তুমি এতটা গাধা হও কীভাবে? বোকা বানিয়ে
ছেলেদের দিয়ে নিজের গুদের চুলকানি মেটাতে পার, আর এটা জাননা, পালাতে
পারলেও, আমাদের নাম-ঠিকানা লেখা আছে রেজিস্টারে। সাগরিকা- কিন্তু তাতে আমার
নাম নেই। তুমি শুধু তোমার নাম-ঠিকানা লিখেছ। রতিকান্ত- তুই যে একটা বড়
খানকি এটা প্রমান করলি। যাইহোক তোর নাম রেজিস্টারে না থাকলেও তোর ওই বেশ্যা
মার্কা খোমা ম্যানেজার ভুলবে না। আমার চেহারার বর্ণনা দিলে তোরটা কি বাকি
রাখবে? তোর গাড়িও তার অচেনা না। হয়তো তোর গাড়ির নাম্বারও সে বলে দিতে
পারে। সাগরিকা- আমি বাড়ি ফিরতে চাই। আমাকে বাসায় দিয়ে এসো। কেন যে মরতে
এসেছিলাম এখানে! রতিকান্ত- হুঁ, অন্ধকার হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে
হবে। লাশটাকে নিয়ে গাড়ির পেছনের ডিঁকিতে তুলব, পথে সুবিধামতো কোনো
জায়গায় ফেলে দিয়ে যাব। সাগরিকা- হ্যাঁ, ভালো বুদ্ধি। তাই কোরো। আমি একা
চলে যাই। অন্ধকার হলে লাশটা গাড়িতে তুলে তুমি চলে এসো্*…… রতিকান্তের চোখে
চোখ পড়তে থেমে যায় সাগরিকা, চোখে ঘৃণা ফুটে ওঠে রতিকান্তের। রতিকান্ত-
শালি খানকি! বিয়ের আগে পাঁচ জনের সাথে শুচ্ছিস আবার বিয়ের পরেও আরও পাঁচ
জনের সঙ্গে শুবি, শালি, রেন্দি, খানকি মাগি। সাগরিকা- আমাকে তুমি যা খুশি
গালি দিতে পার। রতিকান্ত, আমার কোনো উপায় নেই। শীতকালে দিন ছোট,
তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা হয়ে যাবে। খুব বেশিক্ষণ তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে না।
রতিকান্ত- শোনো, ওই লাশ গুম করতে গিয়ে যদি আমি ধরা পড়ি, তখন তোমাকে
প্রকাশ্যে এসে বলতে হবে, আমরা একসাথে এই হোটেলে এসেছি। সাগরিকা- কিন্তু সে
ক্ষেত্রে বাবা, আমার হবু বর সব জেনে যাবে… (কপাল বেয়ে ঘাম নামে সাগরিকার)
রতিকান্ত, তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালোবাসো তাহলে আমাকে এই ঝামেলায় টেনে এনো
না। (প্রায় চেঁচিয়ে উঠে দাঁতে দাঁত চেপে বলে) আমি এই পাপ থেকে বেরিয়ে
যাচ্ছি। রতিকান্ত, তুমি আমাকে আর কোনো দিন ফোন করবে না। কোনো যোগাযোগের
চেষ্টা করবে না… কোনো দিন না… যা কিছু ঘটুক তোমার। আমার কাছ থেকে তুমি কোনো
সাহায্য পাবে না। আমি তোমাকে ভালোবাসি না। স্রেফ শরীরের জন্য তোমার সঙ্গে
মিশেছিলাম আমি। বিদায়! নিচে নেমে যায় সাগরিকা। আরও খানিক পর দেখা যায়
সাগরিকা গাড়ির সামনের ড্রাইভারের সীটের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে ইঞ্জিন
স্টার্ট দেয়। ছোট, অপরিসর ব্যালকনির দরজায় দাঁড়িয়ে সব দেখে রতিকান্ত।
সাগরিকার গাড়ি গেইট দিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যাওয়া না পর্যন্ত পাথরের মতো
রতিকান্ত দাঁড়িয়েই থাকে। এই সময় তার পেছনে এসে দাঁড়ায় একটা ছায়া।
সাদা শার্টে কৃত্রিম রক্তের দাগ শুকিয়ে কালচে হয়ে গেছে। ‘চলে গেল’ পেছন
থেকে জানতে চায় সে। রতিকান্ত করুণ মুখে বন্ধু মদনের দিকে তাকায়, অস্পষ্ট
ভাবে মদনের কিছু কথা কানে আসে, বলেছিলাম না ওই মাগী সুবিধের নয়, তোর সঙ্গে
খেলছে, দেখলি তো প্রমান করে দিলাম। এসব কিছুই রতিকান্তের মাথায় ঢোকে না,
তার মাথায় শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে একটা জিনিসই, বাথরুমে সাজানো লাশের জায়গায়
তার সত্যিকারের ভালবাসা খুন হয়ে পড়ে আছে।